পেছনে আছে ছোট এক ইতিহাস। ১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ও একমাত্র অঙ্গরাজ্য হিসেবে নিউজার্সিতে একটা আইন পাস হয়। যেখানে বলা হয়, বোতলজাত পানিসহ সব খাদ্যপণ্যের গায়ে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ করে দিতে হবে।
বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ ও পানি দূষণ প্রতিরোধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সরকার, গণমাধ্যম এবং জনগণকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ
দেশে তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর আশপাশের জলাশয়ে প্রতিনিয়ত মিশছে বিপজ্জনক রাসায়নিক। রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের নদী, খাল, বিল, এমনকি ট্যাপের পানিতেও এসব রাসায়নিক পাওয়া গেছে। মানব ও প্রাণিস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এসব রাসায়নিক এতটাই ভয়ানক যে এগুলো ভাঙে না। শতকের পর শতক একই অবস্থায় থেকে যায়। এগুলোর
ফুরোমোন পাহাড়ের বুক চিরে নেমে আসা মানিকছড়ি ছড়ার ওপর এক সময় নির্ভর করত আশপাশের মানুষ। সুপেয় পানি পানসহ দৈনন্দিন ধোয়া-মোছার কাজ ও জমিতে সেচ দেওয়া হতো এ ছড়ার পানি দিয়ে। স্বচ্ছ জলাধারার ছড়াটি দূষণে এখন অস্তিত্ব সংকটে।
ভুটান পৃথিবীর একমাত্র দেশ। এই দেশ কখনো পানি ও খাদ্য সংকট বা পানি ও বাতাস দূষণের সমস্যায় পড়েনি। এটি একমাত্র কার্বন নেগেটিভ দেশ, যা কার্বন উৎপাদনের চেয়ে শোষণ করে বেশি— এমন দাবিতে একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম লাড়ুয়া ও নলডুগি গ্রাম দিয়ে বয়ে যাওয়া ডাকাতিয়া নদীর সঙ্গে সংযুক্ত ওয়াপদার সেচ খাল। একসময় এই সেচ খাল দিয়ে ছোট আকারের নৌকা চলাচল করত। পর্যায়ক্রমে ১২ ফুট চওড়া এই খালটি এখন সরু নালায় পরিণত হয়েছে। এতে সেচকাজ চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে কৃষকদের। শুধু তা-ই নয়,
ভৈরব ও রূপসার মিলনস্থলে অবস্থান খুলনা মহানগরীর। বিভিন্ন কারখানার বর্জ্যমিশ্রিত দূষিত পানি, তেলের ডিপো, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জাহাজ ধোয়ামোছার তেল-মবিলে এ দুটি নদ-নদীর পানিদূষণ বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। জলজ প্রাণী মারা যাওয়াসহ জীববৈচিত্র্যও মারাত্মক হুমকির মুখে।
শিল্পকারখানার অপরিশোধিত তরল বা কঠিন বর্জ্য হাওর ও জলাভূমিতে ফেলা হলে পানি দূষিত হয় এবং হাওর ও জলাভূমির পরিবেশ, উদ্ভিদ, প্রাণিকুলসহ জলজ বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
হাওর অধ্যুষিত কিশোরগঞ্জ জেলা মৎস্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত। তবে নদী, খাল-বিল ও পুকুর দূষিত হওয়ায় আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। আর তাই অনেক জেলে জীবিকার তাগিদে অন্য পেশায় চলে গেছেন।
পরিবেশবাদীরা বরাবরই পরিবেশ দূষণে প্লাস্টিকের ভূমিকা নিয়ে সতর্ক করে থাকেন। কেননা প্লাস্টিকের কণা নালা, নদী এবং সাগরে ছড়িয়ে পড়ে খাদ্যশৃঙ্খলে ঢুকে পড়ে। ফলে মানবদেহে মারাত্মক হুমকি তৈরি করে। জাতিসংঘ বলছে, সাগর-মহাসাগরে ব্যাপক মাত্রায় প্লাস্টিক বর্জ্য ছড়িয়ে পড়েছে। এর বর্তমান পরিমাণ আনুমানিক ১০ কোটি টন। গ
ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়া বাজারের অদূরে নদের দুই তীরে বৈধ কোনো কাগজপত্র ছাড়া গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ইটভাটা।বছরের পর বছর এসব ভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে। এতে এক দিকে যেমন নদের পানি দূষিত হচ্ছে, অন্যদিকে নদের বিভিন্ন স্থান দখল হয়ে যাচ্ছে। এরপরও নদের দখল ও দূষণ রোধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভ
কর্ণফুলী নদী বাঁচাতে এবং বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল) এবং ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপসা) ‘নদীতে প্লাস্টিক না ফেলি’ থিমে একটি ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে।
মাদারীপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এবং বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে সবার কাছে পরিচিত শকুনি লেকের পানি দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে পানি আরও বেশি নষ্ট হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে মাদারীপুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
কল-কারখানার বর্জ্যে দূষিত হয়ে পড়েছে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বেলাই বিলের পানি। বিলে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে মাছ। বিল এলাকায় কমেছে ফসল উৎপাদনও।
বান্দরবান পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থায়ী স্থান (ডাম্পিং স্টেশন) না থাকায় সড়কের পাশেই শহরের সব ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। পৌরসভা গঠনের ৩৮ বছর ধরে এভাবেই সড়কের পাশে ময়লা ফেলতে ফেলতে স্তূপ হয়ে গেছে। এর দুর্গন্ধে পাশ দিয়ে চলাচল দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ময়লা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পুরো এলাকা দূষিত করছে। এসব ময়লা গড়িয়ে
কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের হাওরের পানিতে নির্বিচারে ফেলা হচ্ছে প্লাস্টিকের বাটি, পলিথিন ব্যাগ, কোমল পানীয়, পানির বোতলসহ নানা প্লাস্টিক বর্জ্য। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাওরের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা খালের দুই পাশে গড়ে উঠেছে ৩০ থেকে ৩৫টির বেশি গরুর খামার। এসব খামারের বিষাক্ত বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে শিকলবাহা খালের পানি। খালের দূষিত পানি ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের নাকে কাপড় দিয়ে হেঁটে যেতে হয়। এতে দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশও। ফলে